বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ জাহিদুজ্জামান, এবং সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল্লাহ আশরাফ ও মাওলানা জাকির হোসাইন এক যৌথ বিবৃতিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কর্তৃক পবিত্র আল-কুরআন অবমাননার রাষ্ট্রদ্রোহী ও নিকৃষ্টতম ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
নেতৃবৃন্দ সুস্পষ্টভাবে বলেন যে, পবিত্র আল-কুরআন কেবল একটি ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, এটি দেশের কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ের স্পন্দন ও জাতীয় চেতনার ভিত্তি। আল্লাহর কালামের এমন জঘন্য অবমাননা কোনোভাবেই কথিত ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’র নামে চলতে পারে না; বরং এটি দেশের আইন ও সংবিধানবিরোধী স্পষ্ট রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। এই ধৃষ্টতা দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা ও সার্বভৌমত্ব নষ্টের এক পরিকল্পিত রাজনৈতিক অপপ্রয়াস।
তারা আরও বলেন, দুঃখের বিষয় এই যে, দেশের কিছু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ নাস্তিক্যবাদ ও ইসলামবিদ্বেষের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ইসলামবিদ্বেষী চক্র রাষ্ট্রযন্ত্রের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে। প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতা এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা প্রমাণ করে যে, এই অপরাধীরা রাষ্ট্রীয় বা কোনো প্রভাবশালী মহলের পরোক্ষ প্রশ্রয় পাচ্ছে। এমন আচরণ দেশে ভয়াবহ সংঘাত ও বিশৃঙ্খলা ডেকে আনবে, যার সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।
তারা বলেন, আমরা সরকারের প্রতি চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে অবিলম্বে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছাত্রসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দেশের প্রচলিত আইনে কঠিনতম ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামী মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেন, “যদি দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা দৃশ্যমান না হয়, তবে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস দেশের আপামর ঈমানদার তরুণ সমাজ ও তৌহিদী জনতাকে সঙ্গে নিয়ে দেশব্যাপী দুর্বার ও কঠোরতম আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। কুরআন-এর মর্যাদা রক্ষায় আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত, কিন্তু এর অবমাননা কোনো মূল্যে বরদাশত করা হবে না।”
পরিশেষে, নেতৃবৃন্দ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন— আল্লাহর কিতাবের মর্যাদা রক্ষায় প্রতিটি নাগরিককে রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কুরআন অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক, আইনি ও সাংগঠনিকভাবে কঠোর প্রতিরোধের দুর্গ নির্মাণ করতে হবে।